বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছয়টি মেট্রোরেল চালু হলে দিনে ৫০ লাখ যাত্রী পরিবহন

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৮:২৬

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেল ট্রান্সপোর্টের ছয়টি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে। তখন প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ যাত্রী এই এমআরটি দৈনিক ব্যবহার করতে পারবেন।’

দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল-৬ প্রকল্পের লাইনের কাজ অনেকটাই শেষ। চলতি বছরের শেষ থেকে লাইনের অর্ধেক অংশে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে।

এ ছাড়া ঢাকায় আরও পাঁচটি মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেগুলোর বাস্তবায়ন সময় ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। আর এই ছয়টি মেট্রোরেল প্রকল্প চালু হলে দিনে ৫০ লাখের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সেমিনারে তিনি এমন তথ্য জানান। মেট্রোরেল চালু হলে কী ধরনের সুবিধা ঢাকাবাসী পাবেন সেগুলো তুলে ধরেন তিনি।

‘মেট্রোরেল প্রকল্পের এমআরটি লাইন-৬-এর অগ্রগতি এবং এমআরটি লাইন-১’-এর লাইসেন্স হস্তান্তর নিয়ে সেমিনার আয়োজন করে প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেল ট্রান্সপোর্টের ছয়টি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে। তখন প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ যাত্রী এই এমআরটি দৈনিক ব্যবহার করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছি, সে ক্ষেত্রে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।’

সিদ্দিক বলেন, ‘এমআরটি লাইন-১ লাইনের কাজ ২০২৬ সালে শেষ করার সময় রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।’

প্রকল্প সময়ের আগেই এমআরটি-৬ মেট্রোরেল কাজ শেষ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই লাইনে ১৭টি উড়াল স্টেশন আছে। যার দূরত্ব ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।’

এমআরটি লাইন-১-এ দুটি রুট পড়েছে, একটা বিমানবন্দর, আরেকটি পূর্বাচল।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘মেট্রোরেল-৬ চালু হলে ৩৮ মিনিটে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা। সঙ্গে আরও পাঁচ মেট্রোরেল লাইন যখন চালু হবে, তখন তা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাব রাখবে।’

নারীদের জন্য মেট্রোরেলে একটি কোচ থাকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের একটি কোচ নারীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে কেউ যদি অন্য যেকোনো কোচে উঠতে চান পারবেন।’

মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নারীদের জন্য পৃথক বাথরুমে ব্যবস্থা থাকছে। সেখানে শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তন করা যাবে; শিশুদের দুগ্ধপান করানো যাবে। গর্ভবতী নারীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন সে জন্য স্টেশনে ওঠা-নামার জন্য লিফট, এক্সেলেটর রয়েছে বলে জানান তিনি।

শুধু এমআরটি লাইন-৬ চালু হলে ঢাকায় কার্বন নিঃসরণ কমে যাবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৬ টন।

এ ছাড়া প্রতিটি মেট্রো লাইনের জন্য অন্তত দুই হাজার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে জানিয়ে সিদ্দিক বলেন, ‘এ জন্য আমরা একটি মেট্রোরেল ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে যাচ্ছি।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরী।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়য়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নানসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর