বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু দিয়ে মানুষ কী করবে: রিজভী

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৭:৩৩

‘এত টাকা বাজেট দিয়েছে অথচ স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আগের মতো। গত বছর যা ছিল এবারও তাই। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেবেন না, বানাবেন পদ্মা সেতু, এতে দেশের বেকারত্ব কমবে?’

দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে মানুষ পদ্মা সেতু নিয়ে কী করবে।

জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষা ও চিকিৎসা একদম ভেঙে পড়ে গেছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য চিকিৎসা, শিক্ষা না থাকে তাহলে পদ্মা সেতু দিয়ে তারা কী করবে? পদ্মা সেতুর ঝলমলে আলো তাদের কোনো কাজে আসবে না।’

এই সরকার দেখায় বেশি, করে কম- এমন মন্তব্যও করেন রিজভী। বলেন, ‘এত টাকা বাজেট দিয়েছে অথচ স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আগের মতো। গত বছর যা ছিল এবারও তাই। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেবেন না, বানাবেন পদ্মা সেতু, এতে দেশের বেকারত্ব কমবে?

‘স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি পাবে না। এমনিতেই স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস করে ফেলেছে। এগুলো থেকে বোঝা যায় আপনি জনগণের সরকার নয়। আপনি তো দিনের ভোট রাতে করে সরকার হয়েছেন। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন।’

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের কোনো উপকার হবে না বলেও মনে করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে বাজেট দেয়া হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি যে হারে বাড়ছে, এতে দেশের উদ্যোক্তা বাড়বে না।

‘যেভাবে অর্থনীতি ধ্বংস দিকে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে, দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, বেকারত্ব আরও বাড়বে।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে’। প্রত্যাখ্যানের যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে তা প্রমাণিত। আজ সকালে অনলাইনগুলোতে দেখলাম বিভিন্ন বুথে পাতলা কাপড় দেয়া হয়েছে, যাতে বাইরে থেকে দেখা যায় কে কোথায় ভোট দিল। নৌকা মার্কা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিলে বাইরে এসে থ্রেট দেবে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কেমন হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যা বলে দেবেন সেই জিতে যাবে। কোন কোন জায়গা থেকে কাকে জিততে হবে তিনি বলে দেবেন আর নির্বাচন কমিশন তাই করবে।’

আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

একই আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, সবাইকে নিয়ে কীভাবে আন্দোলন করা যায়, সেই চেষ্টা তারা করবেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খসরু বলেন, ‘আগামী মাসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আন্দোলনকে কীভাবে সফল করা যায়, আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সবাইকে নিয়ে আমরা যাতে আন্দোলনকে সম্পৃক্ত করতে পারি, সেই প্রচেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ দুই ভাগ হয়ে গেছে। একটা হলো কর্তৃত্ববাদী সরকার, আরেকটি হচ্ছে গণতন্ত্রের পক্ষে মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের পক্ষে। বিএনপির অবস্থান জনগণের পক্ষে। মুক্তি সংগ্রাম কারও একার না, দেশের ১৮ কোটি মানুষের।’

বর্তমান সরকারের অধীনে আর ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা নতুন করে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা অন্য দলগুলোকেও একই সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা করছে, তাদের ওপরে জনগণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে।

‘চুরির উচ্ছিষ্টভোগীরা এখন উঁকি মারছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, এটার আবার একটা উচ্ছিষ্টভোগী সৃষ্টি হয়েছে। এরা (সরকার) যে মাল চুরি করে, সে মালের ভাগ নেয়ার জন্য কিছু উচ্ছিষ্টভোগী সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। আমি তাদের প্রতি বলতে চাই, সমস্ত জাতি তাদের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে।… আমি তাদের অনুরোধ করব, আল্লাহ ওয়াস্তে এখনও সময় আছে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিন।’

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমান শামিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহজান মিয়া সম্রাট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশও বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর