বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃতীয় দফায় বন্যার মুখে সিলেট

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৭:১৭

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বিকেল ৫টার দিকে বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় পানি বেড়েই চলেছে।’

চলতি মৌসুমে সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যার মুখে পড়েছে পাঁচ উপজেলার অন্তত চার শ গ্রাম। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।

সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার সড়ক, বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ঢুকে গেছে পানি।

পাঁচ দিন ধরে সিলেটে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবারও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর কানাইঘাট ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে। সিলেট পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বিকেল ৫টার দিকে বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় পানি বেড়েই চলেছে।’

বিপৎসীমা পার করেছে সারি নদীর পানি। পানির উচ্চতা বেড়েছে কুশিয়ারা ও লোভা নদীরও। পানি ঢুকে গেছে নগরের কালিঘাট, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর, ছড়ার পাড় এলাকায়।

এর আগে গত এপ্রিলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে অসময়ে বন্যা দেখা দেয়। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়।

এই রেশ না কাটতেই আবারও বন্যা দেখল সিলেটবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৪৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের সহায়তায় বুধবার ২৯৮ টন চালও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন উপজেলার সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীর গাও, রুস্তমপুর, তোয়াকুল, লেংগুড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান জানান, উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

কানাইঘাট পৌর শহরের পূর্ব বাজারে মঙ্গলবার রাত থেকে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে অনেক দোকানপাট। উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম, চতুল, সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শ শ মানুষ।

স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৩৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ছয়টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ, থানাসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া বন্যা পরিস্থিতির চেয়েও এখন পানি বেশি এসেছে। উপজেলার বেশিরভাগ এলাকাই প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট এমনকি অফিস আদালতেও পানি উঠেছে।

‘বন্যাকবলিতদের দুর্ভোগ কমাতে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে। উপজেলায় ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর