চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইউপি নির্বাচনে ‘প্রতিপক্ষের হামলার’ আশঙ্কার কথা জানিয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকা ছেড়েছেন এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বুধবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনি এলাকা সরল ইউনিয়ন ছাড়েন প্রার্থী লিয়াকত আলী শিকদার।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটগ্রহণে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি।
বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচন কর্মকর্তা, এসপি, ইউএনওসহ সবাইকে আমি জানিয়েছি। সবাই বলছে এটা এমপির ইউনিয়ন। এটা (নৌকার প্রার্থী) এমপির চাচা।
‘আমি সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছিলাম, ওরা সবাইকে বের করে দিয়েছে। বের করে দিয়ে মেম্বারের ভোটটা ঠিকঠাক দিতে দিলেও চেয়ারম্যানের ভোট দিতে দিচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্সের কথা বলায় আমি নির্বাচনে এসেছি। এখানে তো মারামারি করতে পারব না। ৩ তারিখ প্রচারের প্রথম দিনেই তারা মেরে আমার হাত ভেঙে দিছে। আমি কেন্দ্রে গেলেই ওরা মারবে। আমি ও আমার পুরো পরিবার এখন প্রাণভয়ে আছি।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। সরল ইউনিয়নে এই মুহূর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন, তার কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরী কোনো মন্তব্য না করে প্রতিবেদককে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রামের ১৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়ন, পটিয়ার দুই ইউনিয়ন, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর একটি করে ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলার চার উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সবার দৃষ্টি বাঁশখালী উপজেলায়। এই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। এর মধ্যে বেঁফাস মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে ‘ইভিএমে ভোট দিতে কেন্দ্রে লোক রাখা’ ও ‘অন্যজনের ভোট নিজে মেরে দেয়া’র কথা বলে চাম্বল ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল দেশব্যাপী সমালোচিত হওয়ার পর ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।