রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তাকে হাসপাতালের কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামকে কিছুক্ষণ আগেই নেয়া হয়েছে কেবিনে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। সেসব করে মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে যে পরবর্তী করণীয় কী হবে।’
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম হয়। এতে তার হার্টে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। ব্লকের একটিতে পরানো হয়েছে রিং।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক শনিবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন সংকটাপন্ন নন, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীলও নয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।’
এর আগে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি বলেছিলেন, ‘ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তার এনজিওগ্রাম করা হবে। খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক বসে।
সে বৈঠক শেষে ডা. জাহিদ বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম করানো লাগবে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা লাগবে। তার পরে গিয়ে বুঝতে পারব।’