বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লা নির্বাচনেও সরকার প্রভাব বিস্তার করছে: ফখরুল

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৩:৩০

সরকার কুমিল্লা নির্বাচনেও প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কুমিল্লা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেকের মধ্যে আশা ছিল যে, তারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চেষ্টা করবে। কিন্তু সে আশা পূরণ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।’

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন বাহার- এমন একটি অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু। এরপর গত ৮ জুন বাহারকে কুমিল্লা ছাড়তে বলে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু বাহার কুমিল্লা না ছেড়ে আদালতে যান। হাইকোর্ট ১৫ জুন ভোটের দিন পর্যন্ত কমিশনের সেই নির্দেশ স্থগিত করে, ফলে বাহারের এলাকায় থাকতে দৃশ্যত কোনো বিধিনিষেধ নেই।

এতে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেছিল সরকারও হয়তো নির্বাচন কমিশনের কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে তারা বরাবর যেটা করে আসছে, প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনা- এটা হয়তো করবে না। কিন্তু আনফরচুনেটলি কোনোটাই হয়নি। এ কারণেই আজকে সরকারি দলের এমপি সেখানে অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে চিঠি দেয়ার পরও তিনি সেখান থেকে বের হননি এবং এটার জন্য গোটা নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে।’

নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, শুধু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, গোটা বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে এই সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নির্বাচন যে প্রতিষ্ঠান, সে প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্বাচনকালীন যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশন যেই থাকুক তাকে দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

আওয়ামী সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বহুবার বলেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছে বিএনপি। কুমিল্লায়ও তারা কোনো প্রার্থী দেয়নি। গত দুই নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন ও মনোনয়নে জিতে আসা সাক্কু ভোটে লড়ার আগ্রহ প্রকাশের পর তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারও করেছে দলটি।

ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থাকে এই সরকার এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, মানুষ এখন ভোট দিতে পারে না। ভোট দিলেও এখন গণনার সময় রেজাল্ট পরিবর্তন হয়ে যায়। সে জন্য আমরা এই সরকারের আওতায় কোনো নির্বাচনে যাব না। আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আপত্তি জানাচ্ছি। সময় হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে যাব।’

গত ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্ধারিত হারে কর দিয়ে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমা করে দেয়ার পথ সুগম হবে।

পাচারের টাকা বৈধ করার এ সুযোগকে সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা। অর্থমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তিনি তো অনেক কিছুই করতেছেন। যেগুলোর সঙ্গে আইন, সংবিধান, নৈতিকতার কোনো সংযোগ নেই। তিনি পাচার করা টাকার বৈধতা চেয়েছেন পার্লামেন্টে। তারা টাকা পাচার করছেন, আবার তা ফিরিয়ে আনতে আইন তৈরি করছেন। দেশটা লুটপাট করছে আওয়ামী লীগ।’

এ বিভাগের আরো খবর