বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা তিন দিন বিপৎসীমার ওপর সুরমার পানি

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৪:১৭

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে আরও দুই দিন বৃষ্টিপাত থাকবে। এতে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে আবারও বন্যা পরিস্থিতির মুখে সুনামগঞ্জ জেলা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১২ মিলিমিটার।

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা সোমবার ছিল ১১ সেন্টিমিটার। এদিন সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমছিল। তবে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছিল। প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারা বাজারসহ চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

শহরের উত্তর আরপিন নগর, মধ্যবাজার, কাজির পয়েন্ট, জগন্নাথবাড়ি রোড, নবীনগর এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গার নিম্নাঞ্চল এলাকা পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, স্কুলশিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীরা।

মধ্যবাজারের ব্যবসায়ী কৃষ্ণ বণিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে রাস্তায় পানি। আর টানা বৃষ্টিতে কোনো কাস্টমার নেই, বড় খারাপ অবস্থা এখানের।’

উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা লুকনা বিবি বলেন, ‘ঘরে পানি ডুকছে (ঢুকছে) না, কিন্তু আর কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই ঘরও পানি ডুকে যাবে। আমরা অসহায়, প্রতিবার বৃষ্টি আইলে আমরা আগে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে আরও দুই দিন বৃষ্টিপাত থাকবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকায় সৃষ্ট বন্যা মোকাবেলার জন্য সকল রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

ইতোমধ্যে প্লাবিত এলাকাগুলোতে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ও সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় ইতোমধ্যে ২০ টন করে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর