কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও ইভিএমের ত্রুটির কথা জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
নগরীর হোচ্ছাম হায়দার কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বুধবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন কাজ করতেছে না। আমরা কয়েকটা কেন্দ্রে গেছি। টিপ দিলে ছবি উঠতেছে না। টিপ দিলে তো মার্কার ছবিটা উঠব। আমরা বিষয়টা বলছি।
‘অন্য সবকিছু ঠিক আছে। ওয়েদারটা একটু খারাপ। এর লাইগা ভোটার একটু কম আইতেছে। এটা ঠিক হয়ে যাইব। আমার অন্য কোনো অভিযোগ নাই। খালি ইভিএম পদ্ধতিটা একটু ত্রুটি হইতেছে।’
ভোট বর্জনের কোনো কারণ আছে কি না সে প্রশ্নে সাক্কু বলেন, ‘আমি তো গতকালই কইছি, যুদ্ধ থেইকা তো ফিরা যাওন যায় না। রেজাল্ট লইয়াই যাইতে হইব, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন।’
জয়ের বিষয়ে টানা দুইবারের এই মেয়র বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি হানড্রেড পারসেন্ট নিশ্চিত আছি। ওয়েদারটা একটু ভালো হইলে আমার লাইগা ভালো হইত আর কি।’
কুমিল্লা সিটিতে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন দুজন।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার। এরপর ২০১২ ও ২০১৭ সালে দুবার নির্বাচন হয়।
দুটি নির্বাচনেই জয় পান মনিরুল হক সাক্কু। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন, তবে দল ভোট বর্জন করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন।
সাক্কুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত। স্বেচ্ছাসেবক দলের আরেক নেতা নিজামউদ্দিন কায়সারও আছেন ভোটের মাঠে। বাকি দুই মেয়র প্রার্থী হলেন কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম।