বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাসমানদের গণনার মাধ্যমে জনশুমারি শুরু

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ০২:০০

রাজধানীর নিউ মার্কেটসহ আরও দুই থানার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আমরা ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহ করব। এটাই শেষ। এরপর ভাসমান মানুষের তথ্য আর সংগ্রহ করা হবে না। এরপর থেকে আমরা মূল গণনায় যাব।’

কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে শুরু হয়েছে জনশুমারি ও গৃহগণনা। মঙ্গলবার রাত ১২টায় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ গণনা করা হয়েছে। তা চলবে আজ বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এরপর সকাল ৭টায় শুরু হবে মূল গণনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত রাত ১২টায় জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ লেখাসংবলিত শার্ট পরে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা থেকে পাঁচজনের একটি টিম বের হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি ও কলাবাগান থানার জনশুমারির সমন্বয়ক, নিউ মার্কেট থানার জোনাল অফিসার এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

সাতজনের এই টিম নিউ মার্কেট থানা হয়ে নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ঢাকা কলেজ হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত রাস্তায় শুয়ে থাকা ভাসমান মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

মূলত ভাসমান মানুষের কাছ থেকে তাদের নাম, লেখাপড়া করেছে কি না, বাড়ি কোথায়, বয়স কত, বিবাহিত কি না এগুলোই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।

নিউ মার্কেটসহ আরও দুই থানার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আমরা ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহ করব। এটাই শেষ। এরপর ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। এরপর থেকে আমরা মূল গণনায় যাব।

‘এই ভাসমান লোকদের গণনা করার জন্য নিউ মার্কেটসহ আমার এরিয়ার বাকি দুই থানায় আনুমানিক ১০ জন আছেন। তবে মূল গণনার জন্য আছেন প্রায় সাত শ ব্যক্তি। তারা কাল সকাল থেকে কাজ শুরু করবেন।’

জনশুমারির নিউ মার্কেটের জোনাল অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণনা থেকে কোনো ভাসমান মানুষকে বাদ রাখতে চাই না। কোনো ভাসমান মানুষ যেন গণনা থেকে বাদ না পড়ে সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

‘রাস্তায় শুয়ে থাকা মানুষের কাছ থেকে কিন্তু আমরা তথ্য নেব না। শুধু যাদের বাড়িঘর নেই তাদের থেকেই তথ্য নিচ্ছি। আর আগামীকাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে যখন তথ্য নেয়া হবে তখন আমরা তাদের কাছ থেকে জানতে চাইব, ১৪ তারিখ রাত ১২টা থেকে ১৫ তারিখ ভোর ৬টা পর্যন্ত সেই বাড়িতে কারা কারা ছিল। যারা ছিল তাদের তথ্য নেব। আমরা এখন পর্যন্ত (রাত ১টা) ভাসমান প্রায় দশজনের তথ্য নিয়েছি।’

সাইদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ গণনায় সময় অনেক বেশি লাগবে। পরিবার প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। কারণ তাদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে অনেক। তবে ভাসমান মানুষ গণনায় জনপ্রতি তিন মিনিট সময় লাগছে। তাদের থেকে খুব বেশি প্রশ্ন করার প্রয়োজন হচ্ছে না।’

জনশুমারিতে অংশ নিতে পেরে খুশি জুলফিকার আলী মোল্লা। তিনি নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারের মোড়ে ভ্যানের ওপর ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে ডেকে তুলে তার তথ্য নেয়া হয়।

অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো লেগেছে। আদমশুমারি দেশের জন্য খুব ভালো জিনিস। কত মানুষ আছে না আছে সেটা সরকার বুঝতে পারে, আমরাও জানতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর