চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যাচেষ্টার দায়ে স্কুলের সুইপারকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শারমিন জাহান মঙ্গলবার বিকেলে এই রায় দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্দুল মতিন।
আসামির নাম আপন চন্দ্র মালি। তিনি কাজ করতেন হাটহাজারীর কাটিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।
২০১৮ সালের ১১ মার্চ দুপুরে স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আপন চন্দ্র। শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে আপন তাকে দেয়ালে ধাক্কা দেয় ও গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে। এ সময় শিশুটির চোয়ালের ডান পাশের হাড় ভেঙে যায়।
শিশুটি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় আপন। মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু করে তার পরিবার। সেদিন বিকেলে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। সে সময়ই ক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয়রা সন্দেহের ভিত্তিতে আপনকে আটক করে পুলিশে দেয়। রাতে শিশুর বাবা হাটহাজারি থানায় তার নামে মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বেশ কিছুদিন পর শিশুটি সুস্থ হয়।
২০২০ সালে আসামির বিচার শুরু হয়। ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আপনকে দুই ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত সবকিছু বিবেচনা করে রায় ঘোষণা করেছে। আদালতের রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়েটা বাঁচবে বলে ভাবি নাই আমি। ও এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আমার মেয়েটা নিরাপদে যেন বড় হতে পারে সবাই সেই দোয়া করবেন।’