বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সঙ্গে তাদের মাতৃভূমি রাখাইনে ফেরাতে ঢাকায় বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
দুই দেশের এ বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) এটি ছিল পঞ্চম বৈঠক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনে সেনাচৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
সেই সময় থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
তাদের ফেরাতে গত ছয় বছরে বহুবার বৈঠক হয়েছে।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ সভা নেপিদোতে ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে গত তিন বছরে আর এই বৈঠক হয়নি।
মঙ্গলবারের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সেক্রেটারি) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ চ্যান আই মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত লোকদের আতিথেয়তা, প্রত্যাবর্তনের যোগ্যতার দ্রুত যাচাইকরণ এবং প্রত্যাবাসনকারীদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও সুস্থতার জন্য প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
উভয় পক্ষই যাচাই-বাছাইসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কাজ করতে এবং প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য নিয়মিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) এবং টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে বৈঠক শেষে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক দিন পর দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে এবং আগামী দিনে এটি অব্যাহত থাকবে।’