বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলা মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১৯:১৮

‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, যিনি ওই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটার, তাকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার কথা বলতে পারে কি না। এটি কি তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ নয়? তাহলে তো ঢাকা শহরে যখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, তখন ঢাকা থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকেও ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার চলাকালে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়তে নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছিল, তার সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তার দৃষ্টিতে এই আদেশ মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্যকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।’

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রথম পরীক্ষায় নামছে বুধবার। সেদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ছাড়াও ১৩৫টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং একটি উপজেলায় ভোটের তফসিল দেয়া হয়েছিল।

ভোট চলাকালে সংঘর্ষ, বিরোধীদের প্রচারে বাধা, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় হামলার ঘটনায় ৯টি এলাকায় ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একটি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়ন। সবগুলো এলাকাতেই আওয়ামী লীগ কর্মীদের আচরণের কারণে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের পদক্ষেপ সচরাচর দেখা যায় না যা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন করছে।

তবে সবচেয়ে আলোচিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কমিশনের একটি আদেশ পালিত হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন বাহার- এমন একটি অভিযোগ এনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। এরপর গত ৮ জুন বাহারকে কুমিল্লা ছাড়তে বলে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু বাহার কুমিল্লা না ছেড়ে আদালতে যান। হাইকোর্ট ১৫ জুন ভোটের দিন পর্যন্ত কমিশনের সেই নির্দেশ স্থগিত করে, ফলে বাহারের এলাকায় থাকতে দৃশ্যত কোনো বিধিনিষেধ নেই।

গত সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘তিনি (এমপি বাহার) আইন অমান্য করে নির্বাচনি এলাকায় আছেন।’

এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একদম ব্যর্থ হয়েছে একজন সংসদ সদস্যকে কুমিল্লা থেকে বের করতে, আইন মেনে নিতে। তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন কী হবে?’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, যিনি ওই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটার, তাকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার কথা বলতে পারে কি না। এটি কি তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ নয়? তাহলে তো ঢাকা শহরে যখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, তখন ঢাকা থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকেও ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।’

হাছান বলেন, ‘এভাবে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি যাতে কোনো নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করেন, সেটির নির্দেশনা অবশ্যই থাকবে, থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং সেটি করলে অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে, কিন্তু যিনি ওখানে ভোটার ঐ এলাকার সংসদ সদস্য তাকে নিজের ভিটে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলা কি সমীচীন হয়েছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন?’

রক্তদাতা হিসেবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন সাংবাদিক দিলাল আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

সংসদ সদস্যদের স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারে নামার নিষেধাজ্ঞাতেও আপত্তি আছে তথ্যমন্ত্রীর। বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না-এটি ভারতে নাই, পাকিস্তানে নাই, ইংল্যান্ডে নাই, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে নাই, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে নাই, কোথাও নাই। সেই আইনটাও কিন্তু বৈষম্যমূলক।

‘আজকে অনেক কাগজে দেখলাম এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন কী ভুল করেছে আগে সেটি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা কখনও কোথাও দেয়া হয়নি। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমি মন্ত্রী এবং আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম, কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় আমি অংশগ্রহণ করিনি, বাড়ি থেকে দুই একবার বের হয়েছি প্রটোকল ছাড়া।’

এ বিভাগের আরো খবর