সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াখালী গ্রামের ‘রাসেল বস’। কোরবানিতে হাটে তুলতে তাকে খাইয়ে দাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে।
রাসেলকে লালন পালন করছেন আব্দুর রহিম সরদার।
প্রতি বছর ঈদের আগে আগে বড় আকারের কিছু ষাঁড় নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। এবার কথা হচ্ছে রাসেল বস নিয়ে।
ভারতীয় লাল সিন্ধি জাতের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ২৩ মণ।
খামারি আব্দুর রহিম সরদার জানান, গত বছর ভালো দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি রাসেলকে। গত বছরের চেয়ে এ বছর তার ষাঁড় দেখতে আরও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছে।
রহিম বলেন, ‘রাসেল বস খুব শান্ত স্বভাবের গরু। ওর কোনো রাগ নেই। কারও দিকে তেড়েও আসে না। তিন বছর সাত মাস ধরে আমি লালন পালন করছি। ইতোমধ্যে সাত-আট লাখ টাকা দাম উঠেছে। তবে ১১ লাখ টাকা পেলে গরুটি ছেড়ে দেব।’
রহিম আরও জানান, বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। দিনে দুই বার গোসল করাতে হয়, প্রতিদিন খাবার খায় চার বার। খাবারের মধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। মাঝে মধ্যে ভাতও খায়।
রাসেল বসের বিশালতার কারণে রহিমের খামারে ঢুঁ দেয়ার মানুষের অভাব পড়ে না। গরু দেখতে আসা মো. সৌরভ হোসেন বলেন, ‘বড় গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এত বড় গরু জেলার মধ্যে মনে হয় আর নেই।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ নিউজবাংলাকে জানান, জেলা সদরে ৮ হাজার ৪৩৪ টি গরুর খামার রয়েছে। খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।