বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃষ্টির মধ্যে হল ছাড়ছেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১৮:০৩

সিভিল ইঞ্জিনারিং ১৭ ব্যাচের ছাত্রী জেরিন আক্তার বলেন, ‘ছাত্রলীগের গণ্ডগোলের কারণে আমাদের এই পরিস্থিতি পড়তে হচ্ছে। আমাদের বেশির ভাগেরই বাড়ি দূরে। এর বাইরেও করোনায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি, জট বেড়ে গেছে, তার মধ্যে আবার এখন হল ছাড়তে হচ্ছে।’

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন তারা। যাত্রা পথে বৃষ্টির হানা তাদের ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়েছে আরও।

শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফারুক উজ-জামান চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের ছুটিসহ সব মিলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সবকিছু্ বন্ধ থাকবে। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছাত্রীদের এক দিন বেশি সময় দেয়া হয়েছে, তারা বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়বে।’

এই ঘোষণার পর থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার এই নির্দেশনা এক ধরনের নির্যাতন। এর মধ্যেই হচ্ছে বৃষ্টি। অনেক বিভাগের চলমান পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে। বাড়ি দূরে হওয়ায় অনেকেই চিন্তিত টিকিট পাওয়া নিয়ে।

সিভিল ইঞ্জিনারিং ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদের পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমার বাড়ি রংপুরে। এটা রীতিমতো ভোগান্তি। এখন শহরে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে। টিকিট পাব কি না সেটাও অনিশ্চিত। তাদের এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক না। এর মধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে।’

সিএসই ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিভাস রয় চৌধুরী বলেন, ‘হল ভ্যাকেন্ট দিয়ে দিল, আমরা এখন চলে যাব। মোটামুটি ঈদের বন্ধসহ এক মাসের জনহ চুয়েট বন্ধ। বারবার এমন হলে নির্দিষ্ট প্ল্যানে আগানো যায় না। আমাদের ১৬ ব্যাচের আজ (মঙ্গলবার) পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষা শুরু ১০ মিনিট আগে জানতে পারি পরীক্ষা হবে না।’চুয়েট ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রোববার রাতে দুজন আহত হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুয়েটের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার শুরু মূলত শনিবার রাত থেকে। ওইরাতে চট্টগ্রাম শহরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ছাত্রলীগের এক অংশের নেতাকর্মী। অনুষ্ঠানে দেরি হওয়ায় তারা রাত ৯টার বাস আধা ঘণ্টা দেরিতে ছাড়তে বলেন। কিন্তু একই বাসে থাকা আরেক অংশের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করেন। সেখান থেকেই ঘটনার শুরু হয়। এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটি থেকে মারামারি হয়। সিভিল ইঞ্জিনারিং ১৭ ব্যাচের ছাত্রী জেরিন আক্তার বলেন, ‘ছাত্রলীগের গণ্ডগোলের কারণে আমাদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। আমাদের বেশির ভাগেরই বাড়ি দূরে। এর বাইরেও করোনায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি, জট বেড়ে গেছে, তার মধ্যে আবার এখন হল ছাড়তে হচ্ছে।’

সিএসই ১৮ ব্যাচের ছাত্রী স্বর্ণা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েদের বলেছে কাল সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে। হুটহাট এমন সিদ্ধান্তে ঝামেলায় পড়েছি। শর্ট নোটিশ হওয়াতে সমস্যায় পড়েছি আমরা। করোনায় এমনিতেই জটে পড়েছি, তারমধ্যে আবার ক্যাম্পাস বন্ধ।’

চুয়েটের যানবাহন শাখার টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শহরে পৌঁছে দেয়ার জন্য ১২টা বাস আছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৭টা ছেড়ে গেছে। যতক্ষণ শিক্ষার্থী থাকবে গাড়ি যাবে। গাড়িগুলা শহরে বদ্দারহাট ও রাস্তার মাথা পর্যন্ত শিক্ষার্থী পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসছে। কাল (বুধবার) সকালেও মেয়েদের জন্য বাস যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর