রাজধানীর জুরাইন রেলগেটে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরে করা মামলায় আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত ভূঁইয়াকে জামিন দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে ইয়াসিন আরাফাতকে জামিন দেন।
এর আগে ৮ জুন এই মামলায় দুই আইনজীবীসহ পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
সেদিন তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার আরেক আসামি ইয়াসিন জাহান নিশাত ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেনি পুলিশ। তবে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলেও তাকে জামিন দেন বিচারক তোফাজ্জল হোসেন।
গত ৭ জুন সকালে জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসিন আরাফাতকে জানান।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে হামলা করেন।
তবে স্থানীয়দের দাবি, মোটরসাইকেলচালকের পেছনে থাকা তার স্ত্রীকে পুলিশ লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদে উপস্থিত পথচারী ও আশপাশের বাসিন্দারা পুলিশকে মারধর করে।
তবে পুলিশ বলছে, সেখানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ওই নারীকে লাঞ্ছিত করেছে এমন কোনো তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। পাবলিক সিমপ্যাথি নেয়ার জন্য ওই নারী মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
পুলিশকে মারধর ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুরের ঘটনায় সেখান থেকে আটক করা হয় ওই নারী, তার স্বামী, ভাইসহ ছয়জনকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শ্যামপুর থানায় মামলা করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলের চালক সোহাগ উল ইসলাম রনি প্রথমে নিজেকে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিলেও জামিন আবেদনে তাকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে।