মেহেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট উপলক্ষে কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়। বিকেলের মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) সব সরঞ্জাম পৌঁছানো হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনছার বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে নয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে যেন ভোটের সময় কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটে।’
পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে আছেন বর্তমান মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোতাছিম বিল্লাহ মতু।
এ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭০ জন ও সংরক্ষিত নারী আসন পদে ২০ জন প্রার্থী আছেন।
রিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এবারের নির্বাচনে মানুষ যেভাবে জোট বেঁধেছে তাতে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে জয়ী করবে। পৌরবাসী নৌকার প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে।’
নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মতু বলেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি ক্যাম্প তৈরি করেছেন এবং মানুষের ছবি তুলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এগুলো নির্বাচন কমিশন আমলে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটের পরিবেশ তৈরি করলে মেহেরপুরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।’
জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জুন নয়টি ওয়ার্ডে ৩৫ হাজার ভোটার ভোট দেবেন।
সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেয়ার কথা জানিয়েছেন পৌর এলাকার ভোটাররা।
২ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম আলী বলেন, ‘সৎ, যোগ্য এবং এলাকার উন্নয়নসহ সবসময় মানুষের পাশে থাকবে এমন প্রার্থীকেই ভোটাররা বেছে নেবে। মেয়র যেই হোক এলাকার উন্নয়ন চায় সবাই।’
খাইরুল বাশার নামের একজন বলেন, ‘শহরের সড়ক ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে এমন প্রার্থীকেই আমরা নির্বাচিত করতে চাই।’
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ১৫ জুন সদরের শ্যামপুর, আমঝুপি, পিরোজপুর ও বারাদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে।
চার ইউনিয়ন মিলিয়ে ৪৩টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেয়া হবে। ভোট দেবেন ৮৩ হাজার ৮১০ জন ভোটার।