কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের পাশে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার রাতে বিষয়টি জানানো হয়।
অব্যাহতি দেয়া ওই নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক এ এম নূর উদ্দীন হোসাইন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে নূর উদ্দীনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
পাশাপাশি এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভাপতি সবুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একাত্তর টিভি কুমিল্লা ইউনিভার্সিটিকে কালো তালিকাভুক্তের বিষয়ে ফলাও করে নিউজ প্রচার করে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সোমবার তারা একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের দেখে ভুয়া বলে স্লোগান দেয়।
‘এরপর নূর উদ্দীন কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা প্রমাণ পেয়েছি এবং নূর উদ্দীনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে নূর উদ্দীন বলেন, ‘আমি নেতৃত্ব দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করিনি। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। আদৌ জানি না কেন আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
কয়েকজন যুবক সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাড়ি ভাঙচুর করে ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যান।
গাড়িচালক মো. আলামিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের পাশে গাড়ি রেখে তিনি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। ক্যাম্পাসে রিপোর্টাররা কাজ করছিলেন। এমন সময় ৮ থেকে ১০ জন যুবক গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন।
তাদের কাছে দুই মিনিট সময় চাওয়া হয়েছিল। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে ভেতরে চলে যান।