তিন দিনের মধ্যে হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়া এজেন্সিগুলোকে তাদের নির্ধারিত এয়ারলাইনসে যাত্রীদের জন্য আসন রিজার্ভ করে তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
হজযাত্রা শঙ্কামুক্ত করতে সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি হজ এজেন্সির মালিক এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ও মহাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে এ বছর হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়া প্রতিটি হজ এসেন্সিকে তাদের হাজিদের (যারা এখনো সৌদি আরব যাননি) বিপরীতে নির্ধারিত এয়ারলাইনসের আসন রিজার্ভ করে সেই তথ্য ছক অনুযায়ী হজ অফিসের পরিচালকের কাছে পাঠানোর জন্য এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ জানানো হলো।
দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ৫ জুন শুরু হয় এ বছরের হজ ফ্লাইট। তবে শুরু থেকেই হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজ ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ে দেরি করা, ফ্লাইটের নির্ধারিত আসন পূর্ণ করতে অসহযোগিতা এবং ফ্লাইটের সময়সূচি না মানার অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করে কয়েক দফা চিঠিও দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কয়েকটি এজেন্সিকে দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। এজেন্টগুলোর অসহযোগিতার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অভিযোগ জানিয়েছে সৌদি দূতাবাসও।
মন্ত্রণালয়ের সবশেষ চিঠিতে আরও বলা হয়, চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ৩৫৯টি হজ এজেন্সি এবং হাবের সভাপতি ও মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার রাজকীয় সৌদি দূতাবাস এক জরুরি পত্রে জানিয়েছে , বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের টিকিট রিজার্ভেশনে বিলম্ব করছে এবং ইতোমধ্যে বুকিং করা হজ ফ্লাইটের যাত্রী পাঠাতে ফ্লাইটের সময়সূচি মানছে না।
চিঠিতে বলা হয়, এতে সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের কার্যক্রম বাস্তবায়নে কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের এ ধরনের অবহেলার কারণে হজ ফ্লাইট বাতিল হলে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হবে।
এতে বলা হয়, কোনো এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজে যেতে ব্যর্থ হলে ওই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে বিধান অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।