বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানের শঙ্কায় খামারিরা

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১২:৫৫

গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের গরু পালনকারী সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি সাতটি গরু পালছি। প্রতিটি গরু প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩ শ টাকার খাবার খায়। অথচ গত বছর এমন সাইজের গরুর পেছনে খরচ হতো ২ শ টাকা। এবার গরুর দাম মণপ্রতি সাড়ে ২৭ হাজার টাকার নিচে হলে আমি লোকসানে পড়ে যাব।’

কোরবানির ঈদ আসতে বাকি এক মাসেরও কম সময়। গরুর খামারিরা এখন শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত।

সবারই আশা, ক্রেতাদের মনমতো সুস্থ-সবল গরু হাটে তোলা। ভালো দামে সেসব গরু বিক্রি করা।

তবে গরুর খাবারের দামের ঊর্ধ্বগতি ভাবিয়ে তুলছে খামারিদের। খাবারের বাড়তি দামের কারণে গরুর দামও বেড়ে যাবে। সেই দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

গরুর খামারি জাব্বার আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছর আমার ২০টির মতো বড় বড় গরু ছিল। করোনার কারণে আমার যে গরু বিক্রি হতো ১০ লাখে, সেই গরু বিক্রি হয়েছে সাড়ে আট লাখে। তারপরও লাভ হয়েছে।

‘এবারের অবস্থা ভিন্ন। গোখাদ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। তাই এবার গরুর দাম তুলনামূলক একটু বেশিই হবে। ন্যায্য দামে গরু বেচতে না পারলে আমাদের ব্যাপক লোকসান হবে।’

গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের গরু পালনকারী সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি সাতটি গরু পালছি। প্রতিটি গরু প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩০০ টাকার খাবার খায়। অথচ গত বছর এমন সাইজের গরুর পেছনে খরচ হতো ২০০ টাকা। এবার গরুর দাম মণপ্রতি সাড়ে ২৭ হাজার টাকার নিচে হলে আমি লোকসানে পড়ে যাব।’

গরুর মাংসের ব্যবসা করেন মো. মঈনুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা তিন থেকে সাড়ে তিন মণের গরু ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকায় কিনছি। সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে এখন থেকেই শহরের ব্যাপারীরা গ্রামে এসে গরু কেনা শুরু করে দিয়েছে। তাই এখন গরুর দাম ওঠানামা করবে।’

গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

তারা বলছে, কৃষিনির্ভর জেলা মেহেরপুরে এখন সবুজের সমারোহ। তাই গরুর খাবারের কোনো ঘাটতি নেই। চাষি ও খামারিরা যদি গরুকে সবুজ ঘাস ও বিচালি খাওয়ায়, তাহলে বাজার থেকে কেনা খাবারের বাড়তি দামের কোনো প্রভাব পড়বে না।

তা ছাড়া জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাসের কাটিং বা কলম চাষি ও খামারিদের দেয়া হয়েছে। তারা এই কাটিং থেকে ঘাস চাষ করতে পারবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, এ বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মেহেরপুরের ৩০ হাজার খামারি ২ লাখ ৮৮ হাজার গরু ও ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৩টি ছাগল প্রস্তুত করেছেন। এগুলোর আনুমানিক দাম ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ‘এই জেলায় প্রাকৃতিক গোখাদ্যের কমতি নেই। তাই বাজারে গোখাদ্যের দাম বাড়লে এখানকার চাষি ও খামারিদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।’

এ বিভাগের আরো খবর