বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট উৎসবের নগরীতে দিনমজুরদের মলিন মুখ

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১২:৩৮

বশির মিয়া বলেন, ‘কাজ না পেলে কী করিম (করব)। আইজ অবস্থা খারাপ। মনে অইনা (হয় না) কেউ কাজে লিবে। চাট্টি খাওনের লাইগ্গা কাম করি। আইজ দুই দিন হলো আয়-রোজগার কমি গেছে।’

চারদিকে ভোটের আমেজ৷ রাত পোহালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। প্রচার শেষে প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত জয়-পরাজয়ের হিসাব নিয়ে। কে হবেন নগরপিতা সেই প্রশ্নে মুখর নগরবাসীও। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতান- সবখানেই চলছে একই আলোচনা।

নগরীর এই উৎসবমুখর পরিবেশ হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় কান্দিরপাড়। সেখানে পাঁচ শতাধিক দিনমজুর বসে আছেন কাজের খোঁজে। তাদের চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ। ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাদের শ্রম কিনতে তেমন কাউকে দেখা যায়নি। নির্বাচন নিয়ে নগরবাসীর ব্যস্ততা ভাটা এনেছে তাদের নিত্যদিনের আয়ের পথে।

ঠাকুরগাঁও থেকে তিন মাস আগে কুমিল্লায় এসেছেন আফজালুর রহমান৷ তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুমিল্লাত ভোট চলে। আমডারে (আমাদের) কাজের লাইগ্গা (জন্য) কে নিব। তারপরও বসি ছিলাম। আইজ কাজ না পাইলে বনরুডি (পাউরুটি) খাম (খাব)।’

নীলফামারীর জলডাঙ্গার বশির মিয়া। থাকেন নগরীর বাইরে ধর্মপুর এলাকায়। আফজালের মতো তাকেও কেউ কাজে নেয়নি।

বশির বলেন, ‘কাজ না পেলে কী করিম (করব)। আইজ অবস্থা খারাপ। মনে অইনা (হয় না) কেউ কাজে লিবে। চাট্টি খাওনের লাইগ্গা কাম করি। আইজ দুই দিন হলো আয়-রোজগার কমি গেছে।’

কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বসে থাকা এই মানুষগুলো দেশের উত্তরবঙ্গের। রুটি-রুজির সন্ধানে বেশির ভাগই ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন কুমিল্লায়। প্রতিদিন যা আয় হয় তা থেকে কিছু খরচ করেন থাকা খাওয়ায়। বাকি টাকা জমিয়ে পাঠিয়ে দেন স্বজনদের কাছে।

আজ (মঙ্গলবার) কাজ না পেলেও তারা কান্দিরপাড়ে বসতে পেরেছেন। তবে বুধবার ভোটের দিন তারা সেখানে যেতেও পারবেন না। পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন ও পরদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পুরো নগরীকে ঘিরে থাকবেন। করতে দেয়া হবে না কোনো জমায়েত।

এমন ঘোষণার পর তাদের মন ভারী হয়েছে আরও। আরও একটি দিন তাদের কাটাতে হবে কর্মহীন।

কুমিল্লা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নিম্ন আয়ের ওই মানুষের জন্য আলাদা করে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে আমি চেষ্টা করব, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য কিছু করার।’

এ বিভাগের আরো খবর