বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষা চলাকালীন ৩ ছাত্রকে ‘পেটালেন’ নিরাপত্তা প্রহরী

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ১০:৩৩

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও শামীম ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একজন নিরাপত্তা প্রহরী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাত করতে পারেন না। আহত শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গায় পরীক্ষা চলাকালীন তিন ছাত্রকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে শরীরে ব্যথার কারণে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করে ওই তিন শিক্ষার্থী।

আহতরা হলো বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মাখালডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীনের ছেলে ১৬ বছরের হাসিবুর রহমান, আফছার উদ্দিনের ছেলে ১৫ বছরের আসিব হোসেন ও আনিছ আহম্মদের ছেলে ১৬ বছরের মেহেরাব হোসেন। তারা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে আহতদের পরিবার। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ছাত্রদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত হাসিবুর রহমান, আসিব হোসেন ও মেহেরাব হোসেন জানায়, কিছুদিন আগে এসএসসি পরীক্ষার্থী আবির হাসান স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে এলে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়। পরে তিনি আবিরকে বকাঝকা করেন।

এ ঘটনায় আবিরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কয়েক দিন আগে আবিরসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন মারধরের হুমকি দিলে তারা প্রতিবাদ করে।

গত রোববার আবিরসহ ওই চার-পাঁচজন স্কুলে এলে তাদের সঙ্গে আবারও কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা অভিযুক্তদের চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনায় সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডেকে ঘটনার মীমাংসা করে দেন ও তাদের তিনজনকে শাসন করেন।

পরে পরীক্ষা দিতে শ্রেণিকক্ষে ঢোকা মাত্র বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মাসুম আলী বলেন, ‘তোদের পরীক্ষা দিতে হবে না। তোরা বাইরে বেরিয়ে আয়।’ তারা শ্রেণিকক্ষের বাইরে এলে মাসুম লাঠি দিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করেন।

আহত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মারধরে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ হয়ে গেছে। আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। শরীরে ব্যথার কারণে আমরা পরীক্ষাটাও ঠিকমতো দিতে পারিনি।

তবে ঘটনা অস্বীকার করে নিরাপত্তা প্রহরী মাসুম আলী বলেন, ‘আমি তাদের মারধর করিনি। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গ্রামের অনেকের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারা মিথ্যা কথা বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

মাখালডাঙ্গা দিননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবোদ আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একজন নিরাপত্তা প্রহরী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাত করতে পারেন না।

‘আহত শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর