গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক নারী শ্রমিককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীর এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
শনিবার ভোরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার গভীর রাতে ঢামেক থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর সফিপুর শাহাবুদ্দিন টেক্সটাইল মিলের সুতা তৈরির কারখানায় কাজ করা ৩৫ বছর বয়সী এই নারী শ্রমিকের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলায়।
ওই নারীর ভাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বোন দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সুতার সেকশনে অপারেটরের কাজ করছে। শনিবার গাজীপুরের একটি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে, তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
‘সেখানে গিয়ে দেখি হাসপাতালের বেডে আমার বোন শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছে। তার কাছে আর কেউ ছিল না। পরে হাসপাতালের স্টাফরা জানান, তাকে চারজন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে গেছে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে শনিবার রাতেই ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার বোনকে তার পুরুষ সহকর্মীরা যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিল। এতে বাধা দেয়ায় তাকে পায়ুপথে কম্প্রেসর মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আমার বোন একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার জ্ঞান ফেরেনি।’
ঢামেক হাসপাতালের ২০০ ওয়ার্ডের পোস্ট অপারেটিভ বিভাগের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বলেন, ‘ওই নারীর অবস্থা সংকটাপূর্ণ ছিল। তার একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তারপরও জ্ঞান ফেরেনি। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে লোকজন এসে তাকে রিলিজ করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গাজীপুরের অসুস্থ নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে কী ঘটেছে আমরা জানতে পারিনি। এখানে থাকা অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরেনি।’