বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি কিংবা অবনতি কোনোটাই হয়নি। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সোমবার বিকেলে বৈঠক করে জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদের বরাত দিয়ে সোমবার রাতে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সোমবার বিকেলেও বৈঠক করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
‘ম্যাডামকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার ৭২ ঘণ্টা পার হবে মঙ্গলবার দুপুরে। এরপর চিকিৎসকেরা ওনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে পারেন।’
শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে মেডিক্যাল বোর্ড মঙ্গলবার থেকে খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে। সোমবার বোর্ড বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। সেসঙ্গে হাসপাতালে তার শারীরিক সুরক্ষায় আরও কিছু চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সোমবার বিকেলের বৈঠকটি দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জুমে বৈঠকে যোগ দেন। বোর্ড সমন্বয়ক খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানও ছিলেন বৈঠকে। বৈঠক শেষে একজন চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক রাতে জানান, সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজধানীর এভারকেয়ার ছাড়াও ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়। পরে এসব পরীক্ষার ফল বিদেশি চিকিৎসকদের কাছেও পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, ‘বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাডামের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। আপাতত সুপসহ তরল খাবারই দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া তিনি তেমন একটা কথা বলছেন না। তার শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত।’
জানা গেছে, মেডিক্যাল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক রয়েছেন। আর বাইরে থেকে আরও অর্ধডজন চিকিৎসক যুক্ত আছেন। যখন যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় বোর্ড সমন্বয়ক তাকে কল করেন। বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরদিন সকালে তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক ধরা পড়লে রিং বসানো হয়। ওই হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।