যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বিলীন হলো সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তারকা মসজিদ।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা সদরের ব্রাহ্মণগ্রামের বহু পুরোনো নান্দনিক নকশায় নির্মিত মসজিদটি নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
এ সময় চোখের সামনে নামাজের ঘর বিলীন হতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোর থেকে হঠাৎ করে যমুনা নদীতে স্রোতের কারণে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। দেখতে দেখতে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হয়ে যায়। দুপুরের দিকে বিলীন হয়ে যায় তাদের তারকা জামে মসজিদের পূর্বাংশের প্রধান ফটক, বারান্দাসহ অর্ধেকের বেশি।
এতে মুহূর্তের মধ্যে নদীপাড়ে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। মসজিদের পাশে প্রায় ৪৫ মিটার এলাকায় এখন ভাঙন চলছে। তার পরও ভাঙন ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী আক্ষেপ করেছেন।
মসজিদের ইমাম হাফেজ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার ফজরের নামাজ পড়েছি। হঠাৎ ভোর থেকে ভাঙন শুরু হয়। দুপুরের দিকে বিলীন হয়ে গেল এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই তারকা জামে মসজিদটি।’
তিনি জানান, প্রতি বছরই নদীপাড়ের ওই মসজিদটি দেখতে অসংখ্য মানুষ আসতেন।
সূত্র জানায়, মসজিদটি ছাড়াও গত এক সপ্তাহে ব্রাহ্মণগ্রামের প্রায় ৪০টি বসতভিটা যমুনার গর্ভে চলে গেছে।
এ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ভাঙন ঠেকাতে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে।
খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া জানান, ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত নদীর তীর সংরক্ষণে ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন ও কাজ শুরু হয়েছে। তার পরও এই ভাঙনের জন্য কাজের অগ্রগতি ও সঠিক তদারকির অভাবকেই দায়ী করেন তিনি।