বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জলাবদ্ধতা নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগ নাকচ পৌরসভার

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ১৮:১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘পৌর এলাকায় ড্রেন উপচে রাস্তায় পানি ওঠার দায় স্থানীয়দেরও নিতে হবে। কারণ তাদেরও সচেতনতার অনেক অভাব। প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন তারা সরাসরি ড্রেনে ফেলেন। এ কারণে পানি আটকে যায়।’

দুপুরে এক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকার রাস্তায় জমে গেছে পানি।

পৌর এলাকার কাজীপাড়া, ট্যাংকের পাড়, মৌড়াইল, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ পৌরতলা তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত গোকর্ণ সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সোমবার বিকেলে দেখা যায় জলাবদ্ধতা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কে বড় খানাখন্দ ও অচল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়।

তবে পৌরসভা বলছে, স্থানীয়দের অসচেতনতার কারণে ড্রেন দিয়ে পানি যেতে পারে না।

স্থানীয় আজগর আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাসা এই তিন রাস্তার মোড় এলাকায়। বিশেষ কারণে ঘর থেকে বের হয়েছি। পুরো রাস্তায় পানি। তাই কয়েক মিনিটের রাস্তা রিকশায় যাচ্ছি।

‘পুরো এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে রয়েছে। এ বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। তা ছাড়া ড্রেনগুলো দিয়ে ঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি উঠে যায়।’

শহরের গোকর্ণ সড়কের জেলা ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশ থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় খানাখন্দ না থাকলেও পুরোটা ডুবে আছে পানিতে।

পথচারী শফিক মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়ি বণিকপাড়ার ভেতরে। পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়িতে ফিরছি। ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে সড়ক পাশের ড্রেনের ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়। এই পানির মধ্য দিয়েই বাড়ি যেতে হয়। কথা বললেই তো বিপদ।’

গোকর্ণ সড়কের খানাখন্দ মেরামত করার কথা জানান জেলা পরিষদের প্রশাসক শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘সড়ক সংস্কারের জন্য এলজিইডিকে টেন্ডার করতে বলা হয়েছে। কাজটি দ্রুত করার জন্য আমরা এলজিইডিকে তাগাদা দেব।’

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, সড়কটির জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ২৭ জুন টেন্ডার আহ্বানের শেষ তারিখ। বর্ষা শেষে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

নগরবাসীকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার দায় দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী আব্দুল কুদ্দুস।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৌর এলাকায় ড্রেন উপচে রাস্তায় পানি ওঠার দায় স্থানীয়দেরও নিতে হবে। কারণ তাদেরও সচেতনতার অনেক অভাব। প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন তারা সরাসরি ড্রেনে ফেলেন। এ কারণে পানি আটকে যায়।

‘গোকর্ণ সড়কে পানি আটকে থাকার কারণ ফোর লেন সড়ক। এই সড়কের কাজ করতে গিয়ে বালু ফেলে আউটপলগুলো বন্ধ করে ফেলেছে। এখানে পৌর কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই। তারপরও চেষ্টা করছি যেন শহরে পানি জমে না থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর