হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমান উল্ল্যাহ বলেন, ‘একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। পুলিশ কারও পক্ষ নেয়নি।’
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
চানন্দী ইউনিয়নের ভূমিহীন বাজারে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীমের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী আজহার উদ্দিনের সমর্থকরা এ হামলা চালান। তবে নৌকার প্রার্থীর দাবি, তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মজিদ রায়হান নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট হয়েছে। এতে দেখা যায়, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে একদল সমর্থক অপর দলকে ধাওয়া করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘ভূমিহীন বাজারে একটি দোকানে প্রধান এজেন্ট বেলালসহ আমরা কয়েকজন বসে ছিলাম। হঠাৎ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ৩০/৩৫ জন সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের হামলায় আমার তিন সমর্থক আহত হন। পরে পুলিশ বেলালসহ তিন জনকে আটক নিয়ে যায়।’
তবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার উদ্দিন বলেন, ‘তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে তিনজনকে আহত করে উল্টো অভিযোগ করছে। তাদের ভোট নাই তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমান উল্ল্যাহ বলেন, ‘একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
‘এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। পুলিশ কারও পক্ষ নেয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।’
চানন্দী ইউনিয়নে ভোট হবে ১৫ জুন। চেয়ারম্যান পদে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইজন।
চানন্দী ইউপিতে উত্তেজনা
এ বিভাগের আরো খবর/p>