আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে সংসদ সদস্য (এমপি) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লায় অবস্থান করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।তিনি বলেন, ‘তিনি (এমপি বাহার) আইন অমান্য করে নির্বাচনি এলাকায় আছেন। আমাদেরও সময় আসবে। ওয়েট অ্যান্ড সি।’
কুমিল্লার ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ব্রিফ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এই নগরীতে আর এক দিন পরই সিটি করপোরেশনের ভোট। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বুধবার ক্ষমতাসীন দলের এমপি বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই নির্দেশ তিনি মানেননি।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে কৌশলে নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন। তাই তাকে নির্বাচনি এলাকা ত্যাগ করতে হবে।এই প্রসঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিবও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমপি বাহার (কুমিল্লা সদর আসন) একজন জনপ্রতিনিধি। উনারা আইন প্রণয়ন করেন। যদি উনারাই আইন না মানেন তাহলে কী আর বলার! উনাকে তো আর আমরা টেনে-হিঁচড়ে নামাতে পারি না। এখানে সম্মান গেল কার আপনারাই বোঝেন।’এ বিষয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরিচয় জানিয়ে এসএমএস করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে কমিশনার আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, নির্বাচনের দিন যে কেন্দ্রের পরিস্থিতি খারাপ হবে, সেটির ভোট স্থগিত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদসহ আরও অনেকে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হবে আজ (সোমবার) মধ্যরাতে। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন লড়ছেন। ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
এই ভোটারদের মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ, ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ২ জন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।