বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণীকে ধর্ষণ-অপহরণ মামলায় যুবক কারাগারে

  •    
  • ১২ জুন, ২০২২ ২২:১৮

ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, প্রতিবন্ধী তরুণীকে আনুমানিক আট মাস আগে খাইরুল ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ২৭ মে মধ্যরাতে তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়।

প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খাইরুল ইসলাম নামে এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক রাজিব আহমেদ তালুকদার রোববার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।

পুলিশ জানায়, ২২ বছর বয়সী খাইরুল ইসলামের বাড়ি রামগোপালপুর ইউনিয়নে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন তরুণীর মা।

মামলায় খাইরুল ইসলাম ছাড়াও আসামি করা হয়েছে তার মা মদিনা আক্তার, চাচা আসাদুজ্জামান, সোহেল মিয়াসহ সাতজনকে।

মামলার বরাতে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, প্রতিবন্ধী তরুণীকে খাইরুল আনুমানিক আট মাস আগে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ২৭ মে মধ্যরাতে তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়। পরে মাকে ছেড়ে দিলেও তরুণীর খোঁজ মিলছিল না।

তরুণীর মা র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনা জানান এবং সহযোগিতা চান। পরে মামলা হলে পুলিশ ও র‍্যাব আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আসামি খাইরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার বিকেলে খাইরুলকে আদালতে ও তরুণীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘র‌্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খাইরুলের চাচা আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এদিকে তরুণী দাবি করেন, অপহরণের পর খায়রুল তাকে এক দিন আটকে রাখেন। পরদিন বিয়ে করার কথা বলে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভপাত ঘটিয়ে পরে বিয়ে করেন।

এ বিভাগের আরো খবর