৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির বিষয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের করা রিট আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
আদালতে কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে শুনানি করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
পরে আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন বলেন, ‘আজ শুনানি হয়েছে। আরও শুনানির জন্য মঙ্গলবার আদালতের তালিকায় এলে পরবর্তী শুনানি হবে।’
আয়কর নিয়ে ট্যাক্সেস আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন ড. কামাল। এর আগে গত ২১ জুন শুনানির জন্য তা কার্যতালিকায় এলেও রিটকারীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে রোববার দিন ঠিক করে হাইকোর্ট।
এ রিট আবেদনে বলা হয়, কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু ওই অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার নামে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরও ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরে রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন তা খারিজ করে আদেশ দেয়।
এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ট্যাক্সেস আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করে। আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ড. কামাল।