বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের কারাগারে ১৮৫০ বাংলাদেশি: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১২ জুন, ২০২২ ১৯:৫৭

মিয়ানমারে বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচিত মোট ৬৩ জন আটক রয়েছেন। তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভারতের বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজার ৮৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিক আটক রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই পদ্ধতিগত কারণে অনিয়মিত অবস্থানের দায়ে অভিযুক্ত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোববার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সঙ্গে ভারতের সীমানা বিদ্যমান। সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাসহ নানা কারণে দুই দেশের দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, কোনো সূত্রে খবর পেলে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো তা যাচাইপূর্বক কারাগারে আটক বাংলাদেশির বিষয়ে নিশ্চিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় আইন সহায়তা দিয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে নারী ও শিশু পাচার রোধ, উদ্ধার ও পুনর্বাস সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার নারী ও শিশুদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম নেয়া হয়ে থাকে।

মিয়ানমারে আটক ৬৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, মিয়ানমারে বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচিত মোট ৬৩ জন আটক রয়েছেন। তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে।

মিয়ানমারে আটক ৬৩ জনের মধ্যে ১০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৫০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলমান। মিয়ানমারে বন্দি বা কারাভোগরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয়।

‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দেশেও পড়েছে’

মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বহুমাত্রিক প্রভাব পড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও রাসায়নিক সার সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ভূমিকা রয়েছে। লজিস্টিক ব্যবস্থায় সংকট এবং যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের বাজার বিশ্বব্যাপী অস্থির হয়ে উঠেছে।

‘বাংলাদেশে আমদানি করা গমের সিংহভাগ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ইউক্রেন থেকে আমরা ভোজ্যতেলও আমদানি করে থাকি। কিন্তু যুদ্ধের ফলে এসবের সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে গম ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে গম ও তেল দিয়ে তৈরি খাবারের দাম।’

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও রাসায়নিক সার আমদানির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান তিনি।

ড. মোমেন জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিচক্ষণ নির্দেশনার সুবাদে ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত বাংলাদেশ ভালভাবেই সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।

এ বিভাগের আরো খবর