কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিকাশ চন্দ্র দাস। নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তিনি। শুরু থেকেই মানুষের জন্য ভালো কাজ করেন বলে সুনাম রয়েছে তার। তবে এবার আলোচনায় এসেছেন তার মায়ের কারণে।
কাউন্সিলর প্রার্থী বিকাশ আলোচনায় এসেছেন তার এক ফেসবুক পোস্টের জন্য। শনিবার তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে তার মায়ের ছবি দেন। ছবিতে দেখা যায়, রাত জেগে ছেলের পোস্টার ভাঁজ করছেন বিকাশের মা। গভীর রাতে জেগে থেকে ছেলের পোস্টার ভাঁজ করা, আঠা দিয়ে সুতলিতে পোস্টার সাঁটানোর ছবি ফেসবুকে দেয়ায় পরই এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বিকাশ বলেন, ‘আমার বাবা সমাজসেবক ছিলেন। মানুষের পাশে থেকেছেন জীবনভর। আমিও বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই। তবে আমার অত টাকা-পয়সা নেই। তাই আমি বন্ধুদের থেকে ঋণ করে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
‘আমার পোস্টার ভাঁজ করার লোক নেই। আমার মা রাত জেগে পোস্টার ভাঁজ করেন। সুতলিতে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে দেন।’
ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা বিকাশ আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জয়-পরাজয় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। না করা সত্ত্বেও আমার জন্য রাত জেগে আমার মা পোস্টার ভাঁজ করেন। এখানেই আমার জয় হয়েছে।’
বিকাশের মা বাসন্তী রানী দাস বলেন, ‘আমার ছেলেটা মানুষের সেবা করতে চায়। মানুষের সেবা করার জন্য অনেক পাগলামি করে। আমার ভালো লাগে। আমার ছেলের হাতে টাকা নেই জানি। নির্বাচনটাও প্রায় চলে এসেছে। তাই পোস্টার ভাঁজ করি, পোস্টার লাগিয়ে দিই।’
নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল আরমান বলেন, ‘বিকাশ ভালো ছেলে। তবে তাদের তেমন অর্থ-সম্পদ নেই। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে বিকাশের জন্য তার মা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা অনন্য উদাহরণ।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। কুমিল্লা সিটির তৃতীয় এ নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সিটিতে মোট ভোটারসংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ২ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।