জঙ্গিদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আগের মতোই রয়ে গেছে, কেবল কৌশল বদলেছে। সন্তান কী করছে তা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকের। আর উগ্রবাদ-সন্ত্রাসবাদ আসলে কী, এর নেপথ্যের অনুঘটক কারা- এসব খুঁজে বের করে স্পষ্ট করার দায়িত্ব গণমাধ্যমের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষতা সাধনে রোববার আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটিটিসি প্রধান।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সহযোগিতায় সিরডাপ মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় নিহত নিবরাস কীভাবে রেডিকালাইজড হলো? কোন প্রেক্ষাপটে কোন প্রক্রিয়ায় জঙ্গি হলো? সাংবাদিকদের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা বিশ্লেষণ করেন, তারাও এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। বর্তমান এসবি প্রধান মনির স্যারের নেতৃত্বে সিটিটিসির পথ চলা শুরু। আজ সিটিটিসি বিশ্বের বিস্ময়। সিটিটিসি দেশে জঙ্গিবাদ ভেঙে দিয়েছে। এটা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মাইলফলক।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, গ্লোবাল টেরোরিজম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩ থেকে ৪০-এ নেমে এসেছে। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর দেশে জঙ্গি হামলার মতো একটি ঘটনাও ঘটেনি। এর অবদান অবশ্যই সিটিটিসির, তথা পুলিশের।
নীরবতা নাকি নিয়ন্ত্রণ?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনেক ঘটনা ঘটেছে। এরপর যা ঘটেছে তা জঙ্গি আস্তানায় আক্রমণ। আমরা সব জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছি, অনেক কেস স্টাডি করেছি। আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া না গেলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এটা সিটিটিসির সফলতা।
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখায় বড় ভূমিকা রয়েছে গণমাধ্যমের। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। মিডিয়াকর্মী থেকে অনেক ছোট ইনফো নিয়েও আমরা বড় সফলতা পেয়েছি। আমাদের গবেষণাকর্ম চলমান। আরও বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। জঙ্গিবাদের ইতিহাস, জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি, কার কী ভূমিকা ছিল- এমন ৩৪টি গবেষণা আমরা করেছি। এসব গবেষণা মিডিয়াকর্মীদেরও অনেক কাজে দেবে৷
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।