জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সাদতের ছেলে শামসুল আরেফিন সাদ দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
অধ্যাপক সাদৎ জানিয়েছেন, গত ৯ জুন ভোরে বাসা থেকে বের হয় সাদ। এরপর আর বাসায় ফিরেনি সে। ১৫ বছরের সাদ সাভার সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
অধ্যাপক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাদ বিনয়ী ও ইন্ট্রোভার্ট একটা ছেলে। গত ৯ তারিখ সকালে বাসা থেকে বের হয়েছে সে। কাউকে কিছু বলেও যায়নি। সে স্কুলেও যায়নি, কারণ তার স্কুলড্রেস বাসায় আছে। সে শুধু মোবাইল এবং মোবাইল ফোনের চার্জার নিয়ে বের হয়েছে।’
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সে কোনো ট্র্যাপে পড়ল কি না, এটা নিয়ে আমি চিন্তিত। স্কুল এবং এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ফ্রি ফায়ার গেম খেলত সে। সেই সূত্রধরে ভার্চুয়াল একটা সার্কেল আছে ওর। অনেক জনকেই সে চেনে। হয়তো এই সার্কেলের দ্বারাও ট্র্যাপের শিকার হতে পারে।’
সাদ প্রায় সাভার পিজ্জা ক্লাবে যেত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে সেখানে সে চার দিন গিয়েছে। পিজ্জা খাওয়া ওর উদ্দেশ্য ছিল বলে আমার মনে হয় না। ওখানে সে যেত কোনো গ্রুপের সঙ্গে দেখা করতে। আমার মনে হয় পিজ্জা ক্লাবের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অধ্যাপক এ এইচ এম সাদৎ তার সন্তানের নিখোঁজের ব্যাপারে জিডি করেছেন। আমরা তার সন্তানকে খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’