কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মায়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন মেয়েও মারা গেছে। আরেক মেয়ে ও তার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
১১ বছর বয়সী জয়া তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রাজবাড়ীর পাংশায় বোনের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার নিজ বাসা ফিরছিলেন মো. জনি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আমেনা খাতুন, বড় মেয়ে জয়া ও ছোট মেয়ে জুঁই।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আলাউদ্দিন নগরে পৌঁছালে ট্রাকের ধাক্কায় বাইকের সবাই পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমেনার। বাবা ও দুই মেয়েকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
পরে রাত ২টার দিকে জয়া মারা যায়। তবে তার বাবা ও ছোট বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের সদস্যরা তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ওসি বলেন, ‘মা ও মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেলের মর্গে নেয়া হয়েছে।’
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ট্রাকচালককে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।