দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উৎসবমুখর অনুষ্ঠান হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে। দেশের ১৭ কোটি মানুষই সেদিন পদ্মা সেতুর জনসভায় যুক্ত হবে বলে আশা করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পুরো বাংলাদেশই ওই দিন জনসভা হয়ে যাবে। উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্পিডবোটে এসে বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করেন।
খালিদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঐতিহাসিক জনসভার মূল সমন্বয়ক চিফ হুইপ মহোদয়। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আজও তিনি ঘাট ব্যবস্থাপনা দেখিয়ে দিলেন। তিন শতাধিক বড়-মাঝারি লঞ্চ এই জনসভায় আসবে। সেগুলোর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা দিলেন।’
সেতু চালু হলে নৌযান শ্রমিকদের কী হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তখন এ দেশে কেউ বেকার রবে না। সবারই কর্মসংস্থান হবে।’
চিফ হুইপ বলেন, ‘জনসভাস্থলে ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এর সঙ্গে সারা দেশেই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আরও চমকও থাকবে। জনসভা সফল করতে প্রতিদিনই আমাদের মন্ত্রী ও নেতারা আসছেন।
‘১০ লাখের বেশি মানুষ জনসভায় আসবে। মন্ত্রী ও নেতারা তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করছেন। জনসভায় আসা দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখ মানুষ যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারেন তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরী ও পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।