যশোরের শার্শায় ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপর কয়েক দফায় বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শার্শা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার নাভারনের স্বর্ণপট্টিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত ৪৮ বছরের মফিজুর রহমানের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামে। শার্শার যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির গ্রুপের সমর্থক তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাভারনের স্বর্ণপট্টিতে ব্যক্তিগত কাজে যান মফিজুর রহমান। সেখানে একই গ্রামের বিএনপির তৃপ্তি গ্রুপের কর্মী মন্টু, রবি ও মাছুমসহ ৪-৫ জন হাসান জহির গ্রুপের মফিজুর রহমানের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয়রা মফিজুরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা বুরুজবাগান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
এ ঘটনার পর কয়েকটি স্থানসহ হাসপাতালের সামনে কয়েক দফায় বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে খবর পাওয়া যায়।
বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তৃপ্তি গ্রুপের আশরাফুল ইসলাম বাবু (বেড়ে বাবু), রবিউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও তরিকুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শার্শার যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তৃপ্তির সমর্থকদের সঙ্গে আমার ছেলেদের ঝামেলা হয়, পরে সেটা মিটেও যায়। ওই ঘটনার জেরে কাল রাতে মফিজুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুুরিকাঘাত করার পর আমরা যাতে কোনো ঝামেলা না করতে পারি, তার জন্য ওরা বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। শুক্রবার রাতে নাভারনে একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। সেখানে আমাদের কয়েকজন ছেলেকে আটক করেছে শুনেছি। গত রমজান মাসে হাসান জহিরের ছেলেদের সঙ্গে আমার সমর্থকদের একটু ঝামেলা হয়। তারই জের ধরে এটা ঘটতে পারে। তাছাড়া আমি তো এখন ওদের ভেতর নাই।’
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় অন্য জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’