বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুপ্তধনে সোনা নয়, পিতলের বালা

  •    
  • ১১ জুন, ২০২২ ০১:১০

জলঢাকা থানার এসআই মহসিনুল হক বলেন, ‘গুপ্তধন মনে করে শ্রমিকরা কলসটি নিজেদের মধ্যে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের কাছে খবর চলে আসে।’

গুপ্তধন মিলেছে এমন একটি কলস নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয় নীলফামারীর জলঢাকায়। তবে ওই কলসে গুপ্তধন নয় পিতলের বালা পেয়েছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া ৩০টি বালা সংরক্ষণের জন্য এবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

জানা যায়, জলঢাকার কচুকাটা ইউনিয়নের বাহারিপাড়া এলাকায় আনোয়ারুল হকের আদা ক্ষেতে কাজ করার সময় একটি মাটির কলস পান কয়েক শ্রমিক। পরে এর ভেতরে থাকা সোনা সাদৃশ কিছু বালা শ্রমিকদের একজনের কাছে রাখা হয়। আর ওই বালাগুলো সোনা কিনা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান তারা। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে হৈচৈ শুরু হয়ে যায় চারদিকে।

এ অবস্থায় ৯৯৯-এ অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তির ফোন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ৯ জুন দুপুরে মাটির কলস উদ্ধার করে জলঢাকা থানার পুলিশ।

ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ সাদেকুল ইসলাম ইসলাম জানান, ‘কলস পাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে ভেতরে ভেতরে সোনা পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করছিল তরা। তবে গোপন আর থাকেনি। গুপ্তধনের খবর পেয়ে পুলিশকে জানিয়ে দেয় কেউ।’

খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম জানান, ‘শ্রমিকরা আদা ক্ষেতে কাজ করার সময় কলসটি পান। পরে সহকর্মী খোকার কাছে জমা রাখেন তারা। কিন্তু খোকা একাই নিতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পুলিশ ওই কলস উদ্ধার করে। যাচাই করে জানা গেছে- সোনা নয়, পিতলের বালা ছিল কলসে।’

জলঢাকা থানার এসআই মহসিনুল হক বলেন, ‘গুপ্তধন মনে করে শ্রমিকরা কলসটি নিজেদের মধ্যে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের কাছে খবর চলে আসে। বালাগুলো পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে পিতলের মনে হয়েছে। অনেক আগে এই বালা ব্যবহার করা হতো।’

তিনি জানান, কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশনার জন্য বালাগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর