রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের মামলায় ৪ আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
১৩ জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত শুনানি শেষে শুক্রবার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া ৪ আসামি হলেন—আবুল কালাম আজাদ, আহাম্মদ হোসেন, মোতালেব হোসেন ও তানজিল হোসাইন।
কারাগারে যাওয়া ১৩ আসামি হলেন—আনিছুর রহমান, রফিক, শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, সানি রহমান, ইমরান হোসেন ভূঁইয়া, মেহেদী হাসান পাপ্পু, মাহফুজুল হাসান মিন্টু, রাব্বি, লিটন, রতন, রুবেল মিয়া, বাবুল খান ও রানা হাওলাদার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের পরিদর্শক রোকনুজ্জামান খান শ্যামপুর থানার মামলায় ১৭ জন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে ১১ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ৬ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪ আসামির এক দিন করে রিমান্ড এবং ১৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে এই মামলায় দুই আইনজীবীসহ ৫ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার আরেক আসামি ইয়াসিন জাহান নিশাত ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেনি পুলিশ। তবে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলেও তাকে জামিন দেন বিচারক ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন।
মঙ্গলবার জুরাইনে এক নারী পুলিশের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিতের অভিযোগ তুলে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় ওই নারী, তার স্বামীসহ ৬ জনকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেলের চালক রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।
ওই সময় ফোন করে নিশাত বিষয়টি তার ভাই ইয়াসিন আরাফাতকে জানালে লোকজন গিয়ে পুলিশ বক্সে হামলা করে ও তাদের মারধর করে।