সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার দুপুরে কালিগঞ্জ থানায় মামলাটি করেছেন নিহত শাহীনা রাসুল হাসির মা ফাতেমা খাতুন।
আসামি করা হয়েছে হাসির স্বামী মাসুদুর রহমান হাসান, ননদ মুর্শিদা খানম ও শাশুড়ি মনোয়ারা খাতুনকে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হালিমুর রহমান বাবু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ২০ বছরের ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরে স্বামী হাসান ও শ্বশুরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্বশুরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠিয়েছে পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে কালিগঞ্জের চাঁচাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে হাসির সঙ্গে সোনাতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোবারক আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনসুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন হাসি। তিনি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই হাসান ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য হাসিকে নির্যাতন করত।
সবশেষ বৃহস্পতিবার হাসিকে বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা আনতে চাপ দেন তারা। টাকা আনতে অপারগতা জানালে এদিন সকালে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ গোসলখানার আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালান অভিযুক্তরা।
মরদেহ উদ্ধারের পর হাসির ভাই ফয়সাল আহম্মেদ জানান, ভগ্নিপতি মাঝে মাঝে তার বোনকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাসুদুর ফোন করে তাকে জানান, হাসি আত্মহত্যা করেছে। বোনের বাড়িতে এসে গোসলখানার আড়ায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। তখন তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল।