নেত্রকোণায় বোরো ধান কাটা শেষ হওয়ার পরই আউশ চাষের ধুম লেগেছে। হাওরদ্বীপ খালিয়াজুরী ছাড়া বাকি ৯ উপজেলাতেই চলছে আউশের আবাদ। বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে আউশের চারা লাগাচ্ছেন চাষিরা।
এ বছর জেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শাহজাহান সিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বছরের আবহাওয়া আউশ আবাদের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চাষিদের আউশ ধান আবাদ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নিম্নাঞ্চল হওয়ায় নেত্রকোণা ১০টি উপজেলার মধ্যে খালিয়াজুরীতে আউশের আবাদ করা যাচ্ছে না। বাকি ৯ উপজেলাতেই আউশের আবাদ করা হচ্ছে। এসব এলাকার চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
‘বোরো ধান কাটার পর গত মে মাসের প্রথম থেকেই আউশের আবাদ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ জমিতে রোপণ করা হয়ে গেছে। জুনের ১৫ তারিখের মধ্যে বাকি অংশ শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে চাষিরা আউশ ধান বপন করতেন। এখন তারা চারা লাগাচ্ছেন। এতে ফলন বেশি হবে।’
বারহাট্টা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, এই উপজেলার ৩৮ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬২ টন।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বৃষ্টির পানিতেই চাষিরা রোপা আউশের চাষ করতে পারছেন। মে থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত আউশ চাষের উপযুক্ত সময়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ চাষি জমিতে চারা রোপণ করছেন। বৃষ্টি থাকায় সেচের সাহায্য নিতে হচ্ছে না কারও।
এ উপজেলার বীর পাগলী গ্রামের চাষি এরশাদুর রহমান বলেন, ‘আমি আরও ১০-১২ দিন আগেই চারা রোপণ শেষ করেছি। গত বছরও আউশ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছিলাম।’কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান করিম জানান, চাষিদের আউশ ধান চাষে উৎসাহ দিতে এ বছর ২০০ জনকে বিনা মূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে।