বরিশাল ও ভোলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন এবং ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী মহিষমারি গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন।
শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা বলেন, ‘শুনেছি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা রুবেল কাজীর লোকজন অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা করে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা গুলি করে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি রুবেল কাজী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মেহেন্দিগঞ্জে ছিলাম। এর আগে আমি বরিশালে অবস্থান করছিলাম। আগেও বরিশাল-ভোলার সীমানা নিয়ে একাধিকবার হামলা-সংঘর্ষ ঘটেছে। কিন্তু এবার গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রথম। ভোলা পুলিশ বিনা উসকানিতে গ্রামবাসীর ওপর গুলি করেছে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘শ্রীপুর এবং ভেদুরিয়ার মধ্যবর্তী একটি ব্রিজ আছে। সেটির দুই প্রান্তের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জমিতে বালু ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছিলেন শ্রীপুরের রুবেল কাজী। এতে বাধা দেয় ভেদুরিয়ার বাসিন্দারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রুবেল কাজী স্থানীয় অসংখ্য নারী-পুরুষ নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বরিশাল এবং ভোলা জেলা পুলিশের সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল।
‘পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা জমি দখলের জন্য অগ্রসর হয়। এক পর্যায় পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগান থেকে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। আমি যতটুকু শুনেছি কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। তবে কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির উদ্দিন।
তিনি জানান, বিকেলে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ; ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।