বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৯৫ ভুয়া প্রকল্পে সোয়া ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, দুদকের মামলা

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ২৩:৫১

দুদকের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা যায় বগুড়ার গাবতলীর তৎকালীন পিআইও আব্দুল আলীম টিআর কর্মসূচির ২৭৮ ও জেলা প্রশাসকের ১৯৬টি প্রকল্পের টাকা অগ্রিম দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে দুদক দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ২৯৫টি প্রকল্প যাচাই করে এসব কাজের অস্তিত্ব পায়নি। এভাবে ২৯৫টি প্রকল্পের আওতায় সরকারের ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়।

কোনো কাজ না করেই ভুয়া প্রকল্প কমিটি দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বগুড়ার গাবতলীর সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বগুড়া জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের টিআর কাবিখা-২ এবং জেলা প্রশাসকের বরাদ্দের ৪৭৪টি কাজে এমন প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। অনুসন্ধানে ২৯৫টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলা করে দুদক।মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন গাবতলীর সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আব্দুল আলীম। তিনি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গাবতলী উপজেলায় দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদে রয়েছেন।

বগুড়া জেলা দুদক জানায়, গাবতলী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের টিআর কর্মসূচির আওতায় ২৮০টি প্রকল্পের বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ২৭৮টি প্রকল্পের কাজ করা হয়।এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গাবতলী পিআইও দপ্তরে আরও ২০০টি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দের মধ্যে ১৯৬টি প্রকল্পের কাজ দেখানো হয়। এসব প্রকল্পের প্রতিটির জন্য ৭৮ হাজার ২০২ টাকা বরাদ্দ ছিল।

২০২০ সালে ওই অর্থবছরে কাজ হওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে গাবতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, দুদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে তৎকালীন পিআইও আব্দুল আলীম টিআর কর্মসূচির ২৭৮ ও জেলা প্রশাসকের ১৯৬টি প্রকল্পের টাকা অগ্রিম দিয়েছেন।পরবর্তীতে দুদক ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ২৯৫টি প্রকল্প যাচাই করে। এতে এসব কাজের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া প্রকল্প সভাপতির নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে ২৯৫টি প্রকল্পের আওতায় সরকারের ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়।

দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুসন্ধানে দেখা গেছে ৪৭৪টি কাজেই অনিয়ম রয়েছে। আমাদের দৈবচয়নে পাওয়া প্রকল্পগুলোয় দেখা গেছে কাজের কোনো অস্তিত্ব নেই। কোনোটির প্রকল্প সভাপতির নাম-ঠিকানাও ভুয়া পাওয়া গেছে।‘আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে সরকারের ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকা আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।’অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত আব্দুল আলীমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর