উন্নত দেশ গড়ে তুলতে জনশুমারি ও গৃহগণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা বিষয়ে ডিএসসিসির জরিপ কমিটি এ সভার আয়োজন করে।
সভায় মেয়র তাপস বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উন্নত ঢাকা গড়তে কাউন্সিলররা যেভাবে কাজ করে চলেছেন, তেমনিভাবেই ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত জনশুমারিতে সহযোগিতা করবেন।’
১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারির ভিত্তিতে জাতির পিতা প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সারা বিশ্বে এটাই নিয়ম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৭৫-এর পরে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাদ দেয়া হলো। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় লাভ নেই, মেয়াদ শেষের আগে অন্য সরকার চলে আসে- এমন যুক্তি দেয়া হয়। এসবের ফলে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করেন। আর সেটার ভিত্তিই হলো এই শুমারি।’
বিশেষ অতিথি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা ডিজিটাল শুমারি করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা হবে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ সফল করতে কাউন্সিলরসহ সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন।
তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে জানিয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, ‘হ্যাকারদের কবল থেকে সংগৃহীত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব তথ্য শুধু সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হবে। কারও ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য অবমুক্ত হবে না।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবিরসহ করপোরেশন ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, মাঠপর্যায়ে সারা দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার স্থানীয় শিক্ষিত যুবক ও নারী এই জনশুমারির তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবেন। ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে একযোগে এই জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজ চলবে। দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারির জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ব্যবহারে জনগণের তথ্য সংগ্রহ হবে।