রাজধানীর জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুই আইনজীবীসহ পাঁচজনকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ কেন বেআইনি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে মামলার নথি তলব করেছে আদালত। স্পেশাল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিমান্ডের আদেশ দেয়া ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ ফজলে এলাহী। তবে রিট ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য আদালতে আসেন কয়েক শ আইনজীবী।
আদালতে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্তর অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও এস কে মোর্শেদ।
এ সময় আদালতের রিটের সমর্থনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সমর্থক কয়েক শ আইনজীবী আদালতের ভেতরে অবস্থান করেন।
দুই পক্ষ থেকে শুনে আদালত রুল জারির পাশাপাশি মামলার নথি তলব করে আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার জুরাইনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তায় অনেক যানজট থাকা সত্ত্বেও উল্টোপথে মোটরসাইকেলে করে আসছিলেন রনি ও নিশান নামে দুজন। সার্জেন্ট মো. আলী তাদের গতিরোধ করে কাগজপত্র চাইলে তার ওপর চড়াও হয় মোটরসাইকেল আরোহীসহ স্থানীয় মানুষজন।
লোকজন এসে সার্জেন্ট মোহাম্মদ আলীর ওপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে রক্তাক্ত জখম করে। পাশাপাশি হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে ।এ ঘটনায় মামলা করে পুলিশ।
ঢাকা মহাগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই মামলায় দুই আইনজীবীসহ পাঁচজনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় বুধবার। আসামিরা হলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহাকুল ইসলাম রনি ও তার শ্যালক আইনজীবী ইয়াসিন আরাফাত ডেইরী, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফ, মো. নাহিদ এবং মো. রাসেল।