বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের বাধায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পণ্ড

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১৬:৪৩

মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গ্যাসসহ পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। আমরা পুলিশের কাছে কর্মসূচির ব্যাপারে আগেই জানিয়েছি। তখন আমাদের নিষেধ করা হয়নি।’ তবে পুলিশ বলছে, বিএনপি কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র থেকে সারা দেশে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। তারই প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কর্মসূচি পালনে সব ধরনের প্রস্ততি নেয় খুলনা মহানগর বিএনপি।

মঞ্চ নির্মাণ, ব্যানার টানানো, মাইক স্থাপন, চেয়ার বসানোসহ সব কাজ শেষ। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল আসার আগে সভাস্থলে হাজির হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে ওই কর্মসূচিতে বাধা দেয়া শুরু করে পুলিশ।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘পুলিশ এসেই মঞ্চ থেকে বিএনপি নেতাদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চের দখল নেয়। বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পরে ভেঙে দেয় মঞ্চ। খুলে ফেলে শামিয়ানা। কেড়ে নেয় মাইক্রোফোন। নেতাদের বসার চেয়ারগুলোও নিয়ে যায়। তারা বন্দুক উঁচিয়ে, বাঁশি ফুঁকে, লাঠি হাতে সমাবেশে আসা কর্মীদের দিকে তেড়ে যায়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নগরীর ব্যস্ততম ও জনবহুল ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজার এলাকায়।’

তিনি বলেন, ‘তখন বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড থেকে মিছিল আসতে থাকলে পুলিশ কর্মীদের আটক করার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের মারমুখী আচরণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন পথচারী, নারী শিশুরা। প্রাণভয়ে অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন।’

মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গ্যাসসহ পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। এটি আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি। আমরা পুলিশের কাছে কর্মসূচির ব্যাপারে আগেই জানিয়েছি। তখন আমাদের নিষেধ করা হয়নি।

‘সকাল থেকে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কোনো পর্যায়েই পুলিশ আমাদের বাধা দেয়নি, কিংবা কর্মসূচি পালন করা যাবে না বলেনি। যখন দলীয় নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন, সে সময় হঠাৎ করেই পুলিশ এসে কর্মসূচি পণ্ড করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। সরকারের লুটপাট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ব্যাংক দেউলিয়া। বিদেশ থেকে পণ্য কেনার মতো পর্যাপ্ত ডলার এখন তহবিলে নেই। শ্রীলঙ্কার মতো পরিণতি হতে চলেছে বাংলাদেশের। মানুষ আর এই সরকারের সাথে নেই।’

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘আমাদের পূর্ব অনুমোদিত কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমরা সংঘাত এড়াতে চেয়েছি। এই সরকার পুলিশ দিয়ে টিকে থাকতে চায়। ভবিষ্যতে আমরা আর পুলিশের অনুমতির অপেক্ষায় থাকব না। রাজপথে মোকাবিলা করব।’

এ প্রসঙ্গে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপির কোনো অনুমতি ছিল না। তাই তাদের রাস্তা থেকে সরে গিয়ে পার্টি অফিসে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। তাদের কাউকে আটকও করা হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর