চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনার দায় মালিক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে অর্থ সহায়তা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে অগ্নিদগ্ধদের অর্থ সহায়তা দেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত শনিবার রাতে আগুন লাগে, এরপর সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়।
৮৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ওই আগুন নেভে। এতে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাদের বলেন, ‘যারা সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডকে হত্যাকাণ্ড বলছেন, আমি মনে করি তারাও সঠিক বলছেন না। আমরা মনে করি এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা রোধে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। কনটেইনার ডিপোর মালিক বা কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
বাংলাদেশের মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব সর্বত্র। সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া। দলকানা ও অযোগ্যদের স্বজনপ্রীতি করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই কোনো কিছুই সঠিকভাবে হচ্ছে না। কেউই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না, তাই দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো কিছুরই যেন পরিকল্পনা নেই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। আমরা এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
‘অসহায়দের দেখতে গিয়ে বা সহায়তা করতে গিয়ে সরকার সমর্থকের হামলার শিকার হতে হবে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না।’
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন বানচাল করতে ষড়যন্ত্রমৃলকভাবে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা- এটা মনগড়া কথা। আর তাই যদি হয়, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দায়িত্ব সরকারেরই।’
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।