বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন নিয়ে সরকার বড় বেকায়দায় আছে: মান্না

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১৬:০৪

মান্না বলেন, ‘জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু দেখতে চায় না। এখন সরকার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য। বিএনপি যদি তাদের লক্ষ্যে অটুট থাকে, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবেই।’

সরকার বড় বেকাদায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, ‘জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু দেখতে চায় না। এখন সরকার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য। বিএনপি যদি তাদের লক্ষ্যে অটুট থাকে, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবেই।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত’ ভোটের অধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারি না। এটা পারে সরকার। এ জন্য এমন একটি সরকার দরকার, যারা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে। বর্তমানে এমন একটি সরকার রয়েছে যারা ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না।

‘গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ফলাফল ঘরে আনতে পারিনি। কারণ বর্তমান সরকার রক্ষক হয়েও ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আর প্রশাসন এক হয়ে নির্বাচন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের লালদীঘিতে বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। তারপরের দিনই তিনি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকে আমরা ওই দলকে জাতীয় বেঈমান হিসেবেই জানি।’

সরকার দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে দাবি করে মান্না বলেন, ‘এখন কোনো অঘটন ঘটলেই বলে নাশকতা। তারা উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপায়। অন্যায় করে একজন, শাস্তি ভোগ করে আরেক জন। আমি দীর্ঘদিন ওই দলটিতে ছিলাম বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। আমি দেখেছি, কী অন্যায়, কী অবিচার, কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল ভাঙতে হয়, কীভাবে আন্দোলন বানচাল করতে হয়, সহ্য হয়নি। এরা শুধু মানুষকে কষ্ট দিতেই জানে। বুকের ভেতরে কষ্ট নিয়ে একা একা হেঁটে চলে এসেছি।’

মান্না বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমরা তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সঠিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। তারা ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে। তারা এখন বলছে ক্রান্তিকাল চলছে। এই ক্রান্তিকালকে যদি আমরা ব্যবহার করতে না পারি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল ঘরে আনা যাবে না।

‘বাংলাদেশে একটা বড় ধরনের গণ-অভ্যুত্থান হতে পারে, যেটা আমরা না জানলেও সরকার জানে। সরকার বুধবার হঠাৎ করে বড় একটা শোডাউন করেছে। কিন্তু এ ধরনের শোডাউন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে কারা আছে। আর কারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়, গণতন্ত্র কারাবন্দি হয়, তা জনগণের কাছে চিহ্নিত। স্বাধীনতার পরও আমরা দেশ গড়তে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজ বন্দি, তারেক রহমান ফেরারি, তারেক রহমানের স্ত্রীও যেন দেশে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়দিন পর তারা জাইমা রহমানের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়ে সেও যেন দেশে না আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে পারে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ২০ দলীয় জোট নেতা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মাওলানা এ বি এম আসাদুল হক, মো. ফরিদ উদ্দিন, এম মাহবুবুর রহমান ভূইয়া, রমজান আলী, আব্দুল হান্নান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর