জাল কাগজ দিয়ে রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় চাঁদপুরের আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ তিনজনকে এক কোটি টাকা জরিমানা করে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জরিমানা ও রিট খারিজের আদেশ দেয়।
সেলিম খান ছাড়া বাকি দুই রিটকারী হলেন আব্দুল কাদের খান ও জুয়েল।
তিনজনের মধ্যে সেলিমকে ৫০ লাখ, আব্দুল কাদেরকে ২৫ লাখ ও জুয়েলকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে জমির মূল্য প্রাক্কলনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর দুটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে।
রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও মনিরুজ্জামান আসাদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
এর আগে গত ২৯ মে চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে সেলিম খানকে বালু তোলার অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ।
মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট বালু উত্তোলনের পক্ষে রায় দেয়। রায়ে ২১টি মৌজায় মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
সেলিম খানের বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। এসব বালু সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এপ্রিলে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন।