বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর ১০ গ্রাম প্লাবিত

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১২:২১

সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা করিম মিয়া বলেন, ‘সকালে ওঠাই দেহি আমাগর বাড়িত পানি ঢুকতাছে। চুলাই পানি ওঠছে, তাই রান্না-বান্নাও বন্ধ। এখন চিড়া-মুড়ি খাইয়া আছি। আর একটু পানি ওঠলে ঘরো ওইঠা পড়ব।’

প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার।

জানা গেছে, ঝিনাইগাতীতে দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে উজানের পাহাড়ি ঢল। এতে উপজেলার মহারশী নদীর পানি বেড়ে ঝিনাইগাতী সদর ও ধানশাইল ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর ও উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলার ভুগাই নদীর তীরবর্তী এলাকায়ও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর বলেন, ‘আমি এ বাজারেই ব্যবসা করি। পাহাড়ি ঢল এলেই মহারশীর পাড় ভেঙে এ বাজারে পানি ঢোকে। এতে আমাদের বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমাদের অনেক দিনের দাবি একটি বেড়িবাঁধের।’

সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা করিম মিয়া বলেন, ‘সকালে ওঠাই দেহি আমাগর বাড়িত পানি ঢুকতাছে। চুলাই পানি ওঠছে, তাই রান্না-বান্নাও বন্ধ। এখন চিড়া-মুড়ি খাইয়া আছি। আর একটু পানি ওঠলে ঘরো ওইঠা পড়ব।’

সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহারশী নদীর পানি বেড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝিনাইগাতী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ওঠতে শুরু করেছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

‘আমরা বারবার মহারশী নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি করে আসছি। কিন্তু তা হচ্ছে না। এতে আমাদের জনসাধারণের খুবই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘সকাল থেকে পানি আসতে শুরু করেছে। উপজেলা পরিষদে পানি ওঠায় সরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।

‘পানিবন্দি মানুষের পাশে উপজেলা প্রশাসন আছে। তাদের জন্য প্রয়োজনে সবকিছু করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর