বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিপু হত্যা: ওমান থেকে আনা হলো সন্দেহভাজন মুসাকে

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১০:৩৬

ডিবির অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুসা ডিবির আসামি। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে।’

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল ঢাকা ডেস্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে মুসাকে আনা হয় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মুসাকে ঢাকায় আনা যাচ্ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হবে।

মুসাকে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশ পুলিশের একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুসা ডিবির আসামি। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে।’

এর আগে বুধবার গভীর রাতে মুসাকে নিয়ে ওমান থেকে রওনা হন বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা।

ওমানে মুসা আটক হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সমঝোতায় তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুসাকে আনতে ওমানে যান ডিবির মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুসা প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান ওমানে। ইন্টারপোলের দেয়া তথ্যে গত ১৭ মে মুসাকে আটক করে ওমান পুলিশ। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিবি ও এনসিবির তৎপরতায় মুসাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়িতে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু।

এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী প্রীতি।

এ ঘটনার পরের দিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার পর ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ২৮ মার্চ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।

আলোচিত এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শ্যুটার মাসুমের জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনায় মুসার নাম আসে।

ডিবি জানায়, মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য।

ডিবি ও র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ টিপুকে হত্যা করতে রিজভী হাসান হত্যা মামলার আসামিদের ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনার তিন-চার মাস আগে টিপু হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মুসার সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। এর মধ্যে প্রথমে মুসাকে ৯ লাখ টাকা দেন তিনি। মার্চের ১২ তারিখে টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন শিকদার ওরফে মুসা। সেখান থেকে যান ওমানে।

এ বিভাগের আরো খবর